কুমিল্লা প্রতিনিধি:

তারুণ্যের ভাবনায় নতুন বাংলাদেশ "এই শ্লোগানে ৩ নভেম্বর দুপুর দুইটায় কুমিল্লা টাউন হল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো রক্তাক্ত ৩৬ জুলাই লাল গ্রাফিতি প্রদর্শনী ও বিপ্লবের লাল কবিতা পাঠ, দুই দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের ১ম দিনে প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা ডিসপ্লে ও স্বৈরাচার বিরোধী বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন, রাতে ভোট, ছাত্র হত্যা, দূর্নীতি, অর্থ পাচার সহ বিগত সরকারের দূর্নীতি ও বৈষম্য বিরোধী আলোচনা হয়,কুমিল্লার স্কাউট, বিএনসিসি,ফায়ারসার্ভিস ও সেচ্চাসেবক টিম প্রদর্শনীর বিভিন্ন দিক প্রদর্শনে সহায়তা করে, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে রুমেন শর্মা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আর্দশ সদর,প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাবেক সদস্য লাকসাম, মনোহরগন্জের কৃতি সন্তান নেক্সাস গ্রুপের চেয়ারম্যান ড রশিদ আহমেদ হোসাইনী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক আবদুল হক, আবদুল হক তার বক্তব্যে বলেন, দেশের এই পরিবর্তন ও বৈষম্য দূরীকরণে আমি জেনারেশন জি কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, তারুণ্যের ইচ্ছে করলে সবেই সম্ভব তা প্রমান করলো ৫ ই আগষ্ট, এই তারুণ্য যুব, ছাত্র ও কিশোরেরই পারবে আগামী দিনে বাংলাদেশকে সুন্দর তাবেদার মুক্ত সোনার বাংলাদেশ গঠন করতে, প্রধান বক্তা ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন,আমরা ঘুষ, দূর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চাই, যে খানে সকল বৈষম্য ও অপরাজনীতি কবর রচিত হবে, ছাত্র জনতার আন্দোলন দূর্নীতি অপশাসনের বিরুদ্ধে ছিলো আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে করে স্বৈরাচারের পেতত্বারা বাংলাদেশ নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করতে না পারে,তরুনরা বুকের রক্ত দিয়ে প্রমান করে দিয়েছে, এই দেশে এবং দেশের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র টিকতে পারবেনা, রক্ত ও লাশের মিছিলকে মাড়িয়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে তা যেন কোন স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য যাতে শেষ না হয়, ছাত্র জনতার প্রতি আমার সমর্থ ভালোবাসা অতীতের মতোই থাকবে এবং সকল ধরনে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ, এই সময় কুমিল্লা টাউন হল অডিটোরিয়াম কুমিল্লা বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের পদচারণ মূখরিত অনুষ্ঠান স্থল, কুমিল্লার সকল ছাত্র সমন্বয়কদের প্রানবন্ত প্রচেষ্টায় প্রদর্শনীতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে , উক্ত অনুষ্ঠানে ,জেলা প্রশাসন, ফায়ারসার্ভিসসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন