
স্টাফ রিপোর্টার।।
সমতটের কাগজ-এর আয়োজনে দেশীয় চলচ্চিত্রের কালজয়ী পুরুষ চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের অন্তর্ধান দিবস পালন।
গত ৩০ জানুয়ারি বিকেলে সমতটের কাগজ-এর আয়োজনে কুমিল্লা নজরুল ইন্সটিটিউটের মুক্তমঞ্চে দেশীয় চলচ্চিত্রের কালজয়ী পুরুষ-প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা-সাহিত্যিক-শহীদ বুদ্ধিজীবী জহির রায়হানের অন্তর্ধান দিবস পালন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি-বিশিষ্ট ছড়াকার-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব-বীরমুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল।
অধ্যক্ষ-কবি মোহাম্মদ শামীম হায়দারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লার বিশিষ্ট কবি-সংগঠক-নাট্যাভিনেতা ফখরুল হুদা হেলাল, বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম শ্রেণীর গীতিকার আবুল হাসেম আল মামুন, কবি-নাট্যাভিনেতা মো: শাহজাহান, কাফেলার সিইও মো: জাহাঙ্গীর হাজারী, নজরুল ইন্সটি্উটের পরিচালক মো: আল-আমিন, জাতীয় কবি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কবি শিপন মানব, ও নবাব ফয়জুন্নেছা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আজাদ সরকার লিটন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কিংবদন্তী চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানকে নিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-সমতটের কাগজ-এর সম্পাদক ও প্রকাশক জামাল উদ্দিন দামাল। অনুষ্ঠানে ক্ষণজন্মা চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানকে নিয়ে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট মোহাম্মদ জাফর আলী,এপেক্সিয়ান মো: আব্বাস উদ্দিন, সমাজসেবী মো: খালেক মোল্লা, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ওমর ফারুক হৃদয়, শিক্ষানুবীশ আইনজীবী আবু জিহাদ মো: রুহি, কবি রোকসানা ইয়াসমীন মণি, প্রধান শিক্ষক হোসনে এরিকা, ইটানিয়াম কম্পিউটার সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী মো: জহিরুল আলম, উষসী পরিষদ কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক একিউ আশিক প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বীরমুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক দুলাল বলেন. দেশীয় চলচ্চিত্রের কালজয়ী পুরুষ জহির রায়হান শুধু চলচ্চিত্রকারই নন-একজন খ্যাতিমান উপন্যাসিক। পাকিস্তান আমলে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও জহির রায়হান একটি স্বকীয় অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর জীবনঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র মানবতার কথা বলে। বিপ্লবী হতে অনুপ্রাণিত করে। পরিচ্ছন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণে তিনি চমৎকার দক্ষতা দেখিয়েছিন। ১৯৬০-১৯৭০ মাত্র দশ বছরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের দিকপাল হয়ে রয়েছেন। আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় জহির রায়হান চর্চা অতীব জরুরী।