
নগরবাংলা নিউজ ডেস্ক।।
বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে শান্ত (১৬) নামে এক কিশোর হত্যাকান্ডের শিকার হয়। হত্যার পর বন্ধু পরিচয়ে ঘাতকরা প্রচার করে শান্ত নিখোঁজ রয়েছে। গত ২৯ মার্চ রাতে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে প্রবাহিত ব্রম্মপুত্র নদীতে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যায় শান্ত।
সেখানে তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয় ঘাতকরা। হত্যাকান্ডের দুই দিন পর ৩১ মার্চ বেলা ১২টায় স্থানীয় এলাকাবাসী বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী গ্রীন গার্ডেন পার্কের সামনে ব্রম্মপুত্র নদীতে গোলস করতে গিয়ে লাশ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ী পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এবং স্বজনরা এসে লাশটি শান্তর বলে সনাক্ত করলে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহত শান্তর পিতা সেলিম হোসেন বাদী হয়ে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। পরে দীর্ঘ ১ মাস ৭ দিন পর ময়না তদন্তের রির্পোট ও নৌ ফাঁড়ী পুলিশের সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয় শান্তকে হত্যা করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় দায়েরকৃত অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হয়।
মামলার সূত্র ধরে তদন্তকারি কর্মকর্তা কলাগাছিয়া নৌ-ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক মেহেদী জামান ২৫মে বুধবার রাতে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শান্ত হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামী মিনহাজ (১৮) ও ৩নং আসামী আকাশ (১৭)কে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃত হত্যা মামলার আসামী মিনহাজ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর নিশং এলাকার মৃত মোক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে ও অপর ধৃত আকাশ একই থানার একই ইউনিয়নের জিওধরা দলালবাড়ি এলাকার শহিদুল মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারকৃতদের বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বিকালে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবনাল কিশোর আদালতে প্রেরণ করলে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মেহেদী জামান জানান, শান্ত নিহতের ঘটনায় অবশেষে ময়না তদন্তের রির্পোটের ভিত্তিতে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রধান আসামী মিনহাজসহ ২ জনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।