২৬শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জন কেরির সাক্ষাৎ

৬৮
header

নিউজ ডেস্ক।।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাক্ষাৎকালে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন জন কেরি।

আগামী ২২-২৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ভার্চুয়াল ক্লাইমেট সামিট অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৪০টি দেশ অংশ নেবে।
বৈঠককালে কেরি বলেন, ‘বাংলাদেশ চাইলে আমেরিকা করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। এই ভ্যাকসিন গ্রীষ্মকালীন চাহিদা মেটাবে।’

মার্কিন রাষ্ট্রপতির বিশেষ দূত দূষণের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য জলবিদ্যুতের পাশাপাশি সৌর শক্তি অন্তর্ভুক্ত নবায়নের মতো বিকল্প শক্তির উৎস ব্যবহারের ওপর জোর দেন।

কেরি বলেন, মার্কিন সংস্থাগুলো অন্যদের সঙ্গে অংশীদার হয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিখাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
তিনি আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু বিষয়ক গ্রিন ক্লাইমেট তহবিলে ১০ মিলিয়ন ডলার ছাড়া আরও ২ মিলিয়ন ডলার দেবে।

কেরি জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেরিকে জানান যে, তারা ভারত, ভুটান এবং নেপালের সাথে আঞ্চলিক ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপক্ষীয় উপায়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, দেশে ৫.৮ মিলিয়ন সৌর সংযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, সেচ ব্যবস্থাপনার জন্য সৌর সংযোগ প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা আরও বলেছিলেন যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে তার সরকার অন্যান্য উদ্যোগের পাশাপাশি জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল গঠন করেছে।

এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি উদ্যোগে এরইমধ্যে সারাদেশে প্রায় ১১.৫ মিলিয়ন চারা রোপণ করা হয়েছে এবং তার দলের নেতাকর্মীরা ১০ কোটি রোপণ করেছিলেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার প্রমুখ।

After Related Post