
মো: আহসানুজ্জামান সোহেল।।
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পালিত হলো বিশ্ব ভালবাসা দিবস, দিনটিকে ঘিরে বিরাজমান ছিলো ফাল্গুনের আমেজ, বিশ্বভালবাসা দিবসে বর্নিল পোশাকে হাতছানি দিয়ে যায় পহেলা ফাল্গুনের আমেজ। দিনটিকে ঘিরে চলে নানা আয়োজন, পথে প্রান্তরে বর্নিল সারি সারি ফুলের দোকান, দেখে পুরো শহরটিকে যেন মনে হয় এক গুচ্ছ ফুলের বাগান ।
কুমিল্লার ধর্মসাগরের পাড় ঘুড়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন আহসানুজ্জামান সোহেল।
বিশ্ব ভালবাসাকে ঘিরে শহরের প্রানকেন্দ্রের নগর উদ্যানে ছিলো উপচে পড়া মানুষের ভীড়, ধর্মসাগড়ের পশ্চিমপাড়ও ছিলো তরুন তরুনী সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের পদচারনায় মুখরিত, এ যেন এক অন্য একটি উদ্যান। সাধারনত অন্য সময়ের চাইতে ভালবাসা দিবসে কয়েক গুন বেশী মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে, বিশ্ব ভালাবাসা দিবসের আনন্দ সাথে বোনাস হিসাবে ছিলো ফাল্গুনের আমেজ সব মিলিয়ে পুরো কুমিল্লা শহর ছিলো এক উৎসবের নগরী, তরুন তরুনীদের মনে ছিলো উৎসবের আনন্দ।
তরুন তরুনীরা প্রিয়জনদের নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন পুরো দিনটি, পাশাপশি পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়ানোর আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নগর উদ্যানের জামতলায় এবং নজরুল ইনষ্টিটিউটে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে এর মধ্যে আবৃতি নাটক সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা ছিলো চোখ পড়ার মতো।
নগর জুড়ে ছিলো সারি সারি ফুলের দোকান, পর্যাপ্ত ফুলের চাহিদা থাকলেও স্বাভাবিক সময়ের চাইতে ফুলের দাম তুলনামূলক অনেক বেশী, তারপরেও দোকানিরা বলছেন অন্যান্য বছরের চাইতে এইবছর ফুলের বিক্রি অনেক কম। বিক্রি কম হওয়ায় অবিক্রিত ফুল নষ্ট হওয়ার আশংকায় লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে জানায় ফুল বিক্রেতারা। ক্রেতা সাধারনের মধ্যে সিংহভাগ ছিলো বয়সে তরুন তরুনী, তরুনদের হাতে ছিলো গোলাপ ও রজনীগন্ধা পাশাপাশি তরুনীদের মাথায় ফুলের মালা আর হাতে আলপনা একে আনন্দে মেতেছিলো সারা দিন।