
তৌহিদ খন্দকার তপু।
বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ( প্রশিক্ষন) আবুল ফয়েজ মো.আলাউদ্দিন খান বলেছেন, আমাদের যুবসমাজের অতীত অতি গৌরবদীপ্ত। জাতির আপদকালীন বিভিন্ন সময়ে তারা যে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেছে তা অনুকরণ ও অনুসরণযোগ্য।
বর্তমানে সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে তরুণ যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ যৌবনদীপ্ত তরুণ সমাজ হচ্ছে তারুণ্যের অহংকার। তারা যদি এগিয়ে না আসে তাহলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অথনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে অপপ্রচার, গুজব, মাদক জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারী) সকালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কুমিল্লা আয়োজিত “ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক বিরোধী কমকান্ডে নৈতিকতার অবক্ষয় ও বিপদগামীতা রোধকল্পে যুব সমাজের ভূমিকা ” শীষক জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.মাঈনুদ্দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড.মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন আধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক প্রযেশ সাহা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির শতাধিক প্রশিক্ষনাথী অংশ নেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান এড. টুটুল বলেন, যুবক-যুবতীরাই হচ্ছে দেশ ও জাতির প্রাণশক্তি। ভবিষ্যতের কর্ণধার। এ যুবসমাজকে বাদ দিয়ে জাতীয় জীবনে উন্নতি ও অগ্রগতির কথা ভাবাই যায় না। শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও যুব শক্তিকে আত্মকর্মসংস্থানে উদ্ধুদ্ব করে তুলতে হবে। বর্তমান আর্থ-সামাজিক পেক্ষাপটে আতœকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আত্মকর্মসংস্থানের প্রতি সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে যুব উন্নয়ন আধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক প্রযেশ সাহা বলেন, আমাদের দেশের একটা উলেখযোগ্য অংশ যুবসমাজ। সমাজ গঠনে যুবসমাজের কার্যকর অংশগ্রহণ প্রযোজন। এই মুহূর্তে মাদক, জঙ্গিবাদ যুবসমাজের জন্য বড় বাধা। দেশের ঐতিহাসিক সব অর্জনের সঙ্গে যুবসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যদি ২০২১ সালে মধ্য আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে অবশ্যই যুবসমাজের উন্নয়ন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.মাঈনুদ্দীন বলেন, বর্তমানে আর্থসামাজিক পরিবেসের কারনে যুবসমাজে কিছু অংশে অবক্ষয়, হতাশা, ব্যর্থতা ও আশা ভঙ্গের আর্তনাদ ধ্বনিত হচ্ছে। অবশ্য গোটা যুবসমাজ এহেন অবক্ষয়মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে নয়। যুবসমাজধারী মুষ্টিমেয় লোকজন এর সাথে জড়িত। বৃহত্তর যুবসমাজের মঙ্গলের কথা ভেবে এ অবক্ষয় থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।