
কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লায় আদালতের খাস কামরায় বিচারকের সামনে ফারুক নামে একজনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় আসামী হাসানের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালত মোঃ আতাবুল্লাহ।
বেলা বারোটায় আসামীর সামনেই তিনি এ রায় দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হাসান লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে।
জানা যায়, গত ২০১৯ সালে ১৫ জুলাই বেলা ১১ টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা ফেরদৌসের এজলাসে মো. ফারুক (৩০) নামে হত্যা মামলার এক আসামিকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হাসান উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করে।
এজলাসে নিহত ফারুক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের ওয়াহিদুল্লার ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। এছাড়া ঘাতক হাসান লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (এপিপি) মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, দুই আসামিই সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ২০১৩ সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে খুন হন হাজী আবদুল করিম। এদিন ওই মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিলো। বেলা ১১টার দিকে এ মামলার আসামিরা আদালতে প্রবেশের সময় ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে ৮ নম্বর আসামি হাসান। প্রানভয়ে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে যান। পিছু ধাওয়া করে হাসানও সেখানে ঢুকে ফারুককে টেবিলের ওপর ফেলে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে ওই কক্ষের ফ্লোরে ফেলেও আঘাত করা হয়।
এ ঘটনার সময় আদালতের পুলিশ, আইনজীবী ও বিচার প্রাথীরা হাসানকে ধরে ফেলে। এ ঘটনায় উপস্থিত বিচারক, আইনজীবী ও অন্য আসামিরা আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।